পাইথনের ইতিহাস-ঃ
পাইথন ল্যাংগুয়েজ
এর প্রতিষ্ঠাতা রোসাম কাজ করতেন CWI তে ডিস্ট্রিবিউ সিস্টেম নিয়ে । সেখানে “সি”
ও ইউনিক্স প্রোগামিং ভাষা ব্যবহার করে কাজ করতেন । এই প্রোগামিং ভাষা গুলোর সীমাবদ্ধতা নিয়ে রোসাম হতাশ
ছিলেন । কারন সি প্রোগামিং ভাষা দিয়ে মেমোরির ব্যবস্পনার ঝামেলা ছিল ।তাছাড়া সি দিয়ে কোন প্রজেক্টের কাজ করলে
নির্দিষ্ট একই কাজ বারবার করতে হত । এছাড়া সি তে প্রয়োজনীয় লাইব্রেরির সংকট
ছিল । আবার, ইউনিক্স শেল দিয়ে ছোট ছোট কাজ গুলো খুব সুন্দর ভাবে করা গেলেও বড় ধরনের
কাজ করতে গেলে ঝামেলা হত । জটিল কোন লজিক নিয়ে কাজ করার মতো উপযুক্ত ছিল না । তাই তিনি নিজেই একটি প্রোগামিং ভাষা তৈরি
করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন । যে ভাষার গুণাবলী হবে সহজে ব্যবহারযোগ্যতা ,পাঠযযোগ্যতা
ও শক্তিশালী। কিন্তু ঐ সময় তার কোন ইন্টারপ্রেটার বিষয়ে কোব প্রকার জ্ঞান ছিল না ।
CWI তে একটি দলের সঙ্গে কাজ করেছিলেন , যারা
ABC নামের একটি ইন্টারপ্রেটেড ভাষা তৈরির কাজে নিয়োজিত ছিলেন বলে
তার ও ইন্টারপ্রেটার তৈরির মোলিক বিষয়গুলোর জানা হয়ে গেল । তারপর ,রোসাম তার কাজের পাশাপাশি মাত্র তিন মাসে পাইথনের একটি কাঠামো
দাড় করালেন । ১৯৯১ সালে প্রথম পাইথন উন্মুক্ত করা হয় । উন্মুক্ত করার পর , অনেকেই বিষয়টি
প্রশংসা করেন আবার অনেকেই করেননি । কিন্তু বর্তমানের ডেভেলপাররা তাদের পছন্দের ১ম তালিকায়
রেখেছেন । পাইথনের একটি বৈশিষ্ট্য হল এর সিনট্যাক্স অত্যন্ত পরিষ্কার এবং গোছালো টাইপের
।তাছাড়া ইনভেন্টেশন হওয়ায় কোডের পাঠযোগ্যতা অনেক সহজ । বর্তমানের ডেভেলপাররা পাইথনকে
ব্যবহার করেন বেশি । বড় বড় প্রজেক্ট খুব সুন্দরভাবে
রক্ষনাবেক্ষন করা যায় ।তাই ডেভেলপাররা পাইথনকে
ব্যবহার করেন বেশি । পাইথন প্রসিজুরাল ,অবজেক্ট ওরিয়েন্ট,স্ট্রাকচার্ড ইত্যাদি সব রকমের
প্রোগামিং প্যারাটাইড সার্পোট করে । যেসব মেশিনে
পাইথন ইন্টারপ্রেটার রয়েছে এমন সব মেশিনে পাইথন ব্যবহার করে যায় ।তার জন্য নতুন করে কোড লিখার প্রয়োজন হয় না ।পাইথনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ন
বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর বিশাল লাইব্রেরি রয়েছে
। এত সব গুরুত্বপূর্ন বৈশিষ্ট্য এর কারনে পাইথনের
ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে ।
0 Comments:
Post a Comment